দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি নিমতলীর মানুষ

পুরান ঢাকার ভয়াবহ নিমতলী ট্র্যাজেডির এক যুগ আজ (৩ জুন)। ২০১০ সালের এ দিনে রাসায়নিক গুদাম থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে মারা যান ১২৪ জন, আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ। ওই দিনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২৩টি বসতবাড়ি, দোকানপাট ও কারখানা। দুঃসহ সেই স্মৃতি আজও ভুলতে পারেন নি নিমতলীর বাসিন্দারা।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে নিমতলীতে গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সকালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়া শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। নিহতদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন স্থানীয়রাও।
এদিকে, স্বজনহারা মানুষদের এখনো সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়। দুঃসহ সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে মো. রিপন নামের একজন বলেন, আমার পরিবার ও আত্মীয় মিলে মোট ছয়জন সেদিন পুড়ে মারা যায়। আমার মায়ের মরদেহ প্রথমে পাওয়া যায়নি। অনেক পরে পেয়েছি।
‘সেদিন মায়ের সঙ্গে কথা বলে বাইরে গিয়েছিলাম মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে। পরে বাসায় এসে দেখি আগুন দাউদাউ করছে। সেই আগুনে আমার মা, বোন, ভাগিনা ও খালাসহ ছয়জন পুড়ে মারা যায়।’
পরিবারের নিহত লোকজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রিপন বলেন, তাদের স্মৃতি আজও ভুলতে পারি নি। কত কিছু হারিয়েছি। আমাদের যে সহযোগিতা পাওয়ার কথা সেটা এখনো পাইনি। শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন কিন্তু সেটা আমাদের পর্যন্ত পৌঁছায় নি।
এদিকে, কালো পাঞ্জাবি পড়ে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককেই। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর এ দিনটিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বজন হারানো মানুষগুলো ছুটে আসেন এখানে। স্মরণ করেন তাদের প্রিয়জনদের।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন