প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০২২ ১২:২০

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: হতাহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের আদেশ আজ

অনলাইন ডেস্ক
সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: হতাহতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের আদেশ আজ

বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি ও আদেশ আজ।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব।

এর আগে ৩১ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চে রিটটি কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) ছিল। কিন্তু ওইদিন শুনানি না করে বিষয়টি সোমবার ১ আগস্ট দিন শুনানির জন্য ধার্য করা হয়। এরপর এদিন আংশিক শুনানি করে মঙ্গলবার আরও শুনানি ও আদেশের দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২৯ জুন জনস্বার্থে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ (সিসিবি) ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট করেন।

রিটে সীতাকুণ্ডে নিহতদের প্রত্যেককে দুই কোটি ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট করার সময় ওইদিন পল্লবের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ও অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।

রিটে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি), স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি এবং বিএম কনটেইনার বিডি লিমিটেডের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে ৮ জুন আগুনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি ওই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয় ওই নোটিশে। আর কমিটির নেতৃত্বে হাইকোর্ট বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাখার কথা বলা হয়। এছাড়া কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের রাখতে সুপারিশ করা হয়। তবে লিগ্যাল নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই রিট করা হয়।

গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের খবর। এরপর রাত ১২টার পর থেকে বিস্ফোরণে মৃতের খবর আসতে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এরপর ৮ জুন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে