অতিরিক্ত সচিবের ২৯ বই: বাতিল হলো বিতর্কিত তালিকা

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামেরই ২৯টি বই স্থান পেয়েছিল। সমালোচনার মুখে সেই বিতর্কিত তালিকা বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই তালিকা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন তালিকা করার জন্য কমিটি করব। তালিকা করব নাকি হেডলাইনে করব, সেটা মিটিং করে নির্ধারণ করব। আপাতত তালিকা বাতিল করেছি।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যক্রম না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেব, এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো আমরা হেড দিয়ে দেব, ইতিহাস, সাহিত্য, কবিতা-এ রকম করে দেব। ওরা ওদের মতো করে ফিলাপ করবে রুচিশীল বই।
তিনি বলেন, হাজার হাজার বই। তালিকা করতে গেলে কারটা দেব, কারটা দেব না, কোন প্রকাশকের যাবে, কোন প্রকাশের যাবে না? এটা একটা সেনসিটিভ এরিয়া।
আলী আজম আরও বলেন, একটা কমিটি গঠন করে দেব যাতে তারা পর্যালোচনা করে সাজেস্ট করতে পারে, কোন প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের বই কেনার জন্য সাজেস্ট করবো।
এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকা তালিকা সোমবার পরীক্ষার পর সংশোধন কিংবা বাতিল করা হবে।
সিনিয়র সচিব বলেছিলেন, আমরা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠাগার তৈরির একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী চার বছর, ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, জেলা প্রশাসক অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পাঠাগার গড়ে তুলবো। এজন্য এই কার্যালয় ১৪শ’ বইয়ের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এটি এমন নয় যে, এই ১৪শ’ বই থেকেই বই কিনতে হবে। সেটির আলোকে বা বিবেচনায় রেখে বই কিনতে বলা হয়েছে।
বই কিনতে উপজেলা পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ দেড় লাখ, জেলা পর্যায়ে ২ লাখ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ লাখ টাকা বলেও জানিয়েছিলেন আলী আজম।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন