প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৫২

‘গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলে ইভিএম চাই, নইলে নয়’

অনলাইন ডেস্ক
‘গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলে ইভিএম চাই, নইলে নয়’

মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারলে তবেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হোক, নইলে নয়- এ অভিমত দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে বসে দলটি এ অবস্থানের কথা জানায়।

সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির ভারপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদের নেতৃত্বে দলটির ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।

আইভি আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলেছি। এজন্য যে বাধা আসবে তা মোকাবিলা করার জন্য বলেছি। উনারা (ইসি) আশ্বাস দিয়েছেন। ইভিএম নিয়ে উনারা খুব একটা কিছু বলতে পারেননি, যেহেতু উনারা বিশেষজ্ঞ নন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী, পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব এবং একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইসি কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। উনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করার জন্য বলেছেন। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইভি আহমেদ বলেন, ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলে আমরা গ্রহণ করবো। এটার জন্য মানুষ এখনো প্রস্তুত নয়। ইসি মানুষকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে, তা কমিশনের ওপরই নির্ভর করবে। গ্রহণযোগ্যতা আনতে পারলে ইভিএম চাই, না হলে চাই না। যদি বুঝতে পারি ত্রুটিমুক্ত তাহলে অবশ্যই আমরা চাইবো।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এরমধ্যে দুটি দল (জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দুটিকে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সংলাপে বসার সময় দিয়েছিল ইসি।

যে ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে-
বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।

সংলাপে অংশ নিয়ে দলগুলো তিন শতাধিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এরমধ্যে ১৪টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে। চারটি দল ইভিএম ব্যবহার নিয়ে শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে