প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৪৬

খোঁজ মেলেনি কুমিল্লার ৭ তরুণের, ৪ কিশোর উদ্ধার: র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক
খোঁজ মেলেনি কুমিল্লার ৭ তরুণের, ৪ কিশোর উদ্ধার: র‌্যাব

কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে গত ২৩ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় কুমিল্লার কলেজপড়ুয়া সাত শিক্ষার্থী। এরপর তারা আর ফেরেনি। ১৮ দিন পার হলেও তাদের খোঁজ মেলেনি।

র‌্যাব বলছে, উগ্রবাদে জড়িয়ে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়ে ওই সাত তরুণ। তাদের পথ অনুসরণ করে অন্য চার কিশোরও ঘর ছাড়ে। সাত তরুণের সন্ধান না মিললেও চার কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কিশোরদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে র‌্যাব

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চার কিশোরকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিখোঁজ ওই সাত তরুণের পর কুমিল্লা থেকে আরও চার কিশোর বাসা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সেই চার কিশোরকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাদের ডি-রেডিকালাইজেশনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

র‍্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাত তরুণের মতো ১ সেপ্টেম্বর একই উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছিল তারা। তাদের হেফাজতে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বোঝানো হয়েছে।

ওই কিশোররা বলেছে, তারা আর জঙ্গিবাদে জড়াবে না। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে তাদের ওপর নজর রাখা হবে।

গত ২৩ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে আর না ফেরা নিখোঁজরা হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান (১৭) ও সামি (১৮), একই কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), অনার্স তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম (২৩) এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা নিলয় (২৫)। কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম (১৮) এবং নিহাল (১৭)।

নিখোঁজ ইমরান বিন রহমানের বাবা মজিবুর রহমান জানান, ২৩ আগস্ট দুপুরে কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর সে রাতে বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজার চেষ্টা করি। না পেয়ে পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। এ ব্যাপারে কুমিল্লা র‌্যাব-১১কেও অবগত করেছি।

বাকি ছয় ছাত্রের অভিভাবকরাও একই রকম কথা বলেছেন। নিখোঁজ সাত ছাত্র প্রত্যেকেই পরস্পরের পরিচিত বলে জানা গেছে।

কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান জানান, সাধারণ ডায়রির সূত্র ধরে আমরা কাজ শুরু করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে