আদালতে জি কে শামীম, রায় দুপুরে

কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে রাখা হয় ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানায়।
এদিন গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা করা হবে। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন। রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ইনর্চাজ পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাদিকুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর থেকে জি কে শামীমকে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষিকেও হাজির করা হয় আদালতে। তাদের রাখা হয়েছে ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানায়।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন, জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। অস্ত্র মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার পৃথক তিন ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবেন।
এর আগে ২৮ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন