প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩০

বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে এবার পিবিআই পুলিশ সুপারের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
বাবুল-ইলিয়াসের বিরুদ্ধে এবার পিবিআই পুলিশ সুপারের মামলা

স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আকতারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে বাবুল আকতারসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখনো বাবুল আকতারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়নি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে, তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এর আগে একই ঘটনা ও একই অভিযোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করেছিলেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে বাবুল আক্তারের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন মিতুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।

ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। তবে আইনি জটিলতায় পরবর্তীসময়ে বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনের করা মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আগের বাবুল আকতারের করা মামলাতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। এরই মধ্যে অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এর মধ্যে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ আবেদন করেছিলেন তিনি। ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের এসব আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে