‘ধুম’ সিনেমা দেখে কৌশল রপ্ত করে শতাধিক চুরি
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে চোরাই মালামালসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রাজু হাসান ওরফে মেহেদী হাসান রাজু ওরফে আফসার হোসেন তুহিন এবং ফজলুল করিম দিপু।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার রাজু ভারতীয় সিনেমা ‘ধুম’ দেখে চুরির বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করেন। তিনি শতাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। চুরির পর তিনি নিকটস্থ সেলুনে গিয়ে ক্লিন শেভ করে ও চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে বিলাসবহুল বাস সার্ভিসে করে এলাকা ত্যাগ করতো।
শনিবার (৫ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর শুক্রাবাদে মাহাবুব কমিশানারের বাসার সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। এসময় একটি মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবককে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। তবে তারা না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
‘পরে তাদের দেহতল্লাশি করে একটি সোনার নেকলেস, ৯টি আংটি, দুটি ব্রেসলেট, তিনটি স্বর্ণের কানের দুল, লকেটসহ একটি স্বর্ণের চেইন, বিভিন্ন দেশের ৩৯টি নোট, নগদ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন এনএস পালসার ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।’
ওসি জানান, গ্রেফতার রাজু ২০১১ সাল থেকে চুরির সঙ্গে জড়িত। তিনি ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত শতাধিক চুরিতে জড়িত। সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা সদরের একটি বাসা থেকে উদ্ধার মালামালগুলো চুরি করে এনেছে। গ্রেফতার রাজু পর্যটকের বেশে কক্সবাজারে গিয়ে বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা এনজিও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চুরি কতেন। চুরির সময় গ্রেফতার দিপু বাইরে পাহারা দিতেন।
চুরির কৌশল সম্পর্কে ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, ভারতীয় সিনেমা ধুম দেখে তারা চুরির কৌশল রপ্ত করেন। পরে বিভিন্ন বাসায় নিরাপত্তার জন্য লাগানো সিসিটিভিতে তার ধারণ করা ছবি সম্পর্কে পুলিশকে ধোঁয়াশায় ফেলার জন্য প্রথমে মাসখানেক চুল-দাঁড়ি বড় করে। তারপর টার্গেট অনুযায়ী চুরি করতেন। এরপর নিকটস্থ কোনো সেলুনে গিয়ে ক্লিন শেভ করে ও চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতেন। এরপর বিলাসবহুল বাস সার্ভিসে করে এলাকা ত্যাগ করতেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন