প্রকাশিত : ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১১:১৭

দায়িত্বরত অবস্থায় মামলা হলে গ্রেফতারের আগে লাগবে অনুমতি

অনলাইন ডেস্ক
দায়িত্বরত অবস্থায় মামলা হলে গ্রেফতারের আগে লাগবে অনুমতি

দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দায়িত্ব পালনের বিষয়ে যদি মামলা হয়, সেক্ষেত্রে গ্রেফতারের আগে সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

রোববার (৬ নভেম্বর) সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল বিভাগ আপিলের অনুমতি দেওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ অনুমতি দেন। আপাতত পূর্বানুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, যেহেতু তারা আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন, সেহেতু লিড দিয়ে শুনানি করা হয় আইনের বৈধতা-অবৈধতা জানার জন্য। তাদের দুটি বিষয়ের একটি হচ্ছে রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু এর মধ্যেই সরকারি কর্মকর্তাদের আলাদা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেটা আমি দেখালাম যে আমাদেরই সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় বলা হয়েছে যে শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দায়িত্ব পালনের বিষয়ে যদি মামলা হয়, সেক্ষেত্রে তাকে গ্রেফতারের পূর্বে সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

গত ১ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের রায় ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়।

সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে সরকারের কাছে কোনো পূর্বানুমতি লাগবে না, গত ২৫ আগস্ট এমন রায় দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেন, সরকারি চাকরি আইনের ৪১ এর ১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেন, যেখানে সংবিধান সবার সমান অধিকারের কথা বলেছে, সেখানে সরকারি চাকুরি আইনের ওই ধারা সাংঘর্ষিক।

২০১৮ সালের নভেম্বরে আইনটি করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়। এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থি উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর রুল জারি করে। পরে রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আইনটি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে