এবার কারিগরি বোর্ডের বাংলার প্রশ্নে সাহিত্যিককে ‘হেয়’ করে প্রশ্ন
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’র অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওই প্রশ্নে দেশের একজন সাহিত্যিককে হেয় করার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রোববার (৬ নভেম্বর) কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা-২-এর একটি সৃজনশীল প্রশ্নে উদ্দীপকে একজন লেখকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘২১ শে বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’
জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, ‘এ মেসেজটা শোনার পর আমি প্রশ্নপত্রটি সংগ্রহ করেছি। কোন শিক্ষক এমন প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়িত্বও দিয়েছি। কে এ প্রশ্নটি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা সম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সব বোর্ডে কেন এ ধরনের কাজ করছে, কী কারণে করছে তা জানা দরকার। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর মডারেটরা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পাণ্ডুলিপি বের করে এটার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তিনি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা প্রশ্নপত্র মডারেট করেছেন এবং সেট করেছেন, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের একটি প্রশ্নে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নিয়ে বিতর্ক হয়। এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি তদন্ত করবে শিক্ষা বোর্ড।
একই দিনে প্রশ্নপত্রে মুদ্রণজনিত ভুলের কারণে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন ও পুরোনো সিলেবাসের বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন