ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে হবে: রাষ্ট্রপতি
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই এর প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, প্রাত্যাহিক জীবনে আধুনিকতা ও নগরায়ণের প্রভাবে আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিনদিন বাড়ছেই। তাই ডায়াবেটিস থেকে সুরক্ষা পেতে ও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের উপায় জানতে হবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস একটি অসংক্রামক রোগ। ডায়াবেটিসকে বিশ্বব্যাপী সব রোগের মাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর কারণে মানবদেহে বাসা বাঁধছে হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ কিডনি ও চোখের নানাবিধ রোগ।
আবদুল হামিদ বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই ডায়াবিটিসের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫৩ কোটি, যা ২০৩০ সালে ৬৪ কোটিতে পৌঁছাবে। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আগামী দিনে নিজেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আগামীতে নিজেকে সুরক্ষায় ডায়াবেটিসকে জানুন’ (Education to Protect tomorrow) – যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানার ব্যাপারে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পাশাপাশি গণমাধ্যম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বেসরকারি অন্যান্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সচেতনতাও এক্ষেত্রে খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। এ সময় তিনি বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন