প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৪১

জঙ্গি সম্পৃক্ততায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
জঙ্গি সম্পৃক্ততায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গ্রেফতার

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিখোঁজ হওয়া মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. জাকির হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সিটিটিসি জানিয়েছে, চিকিৎসক জাকির নিষিদ্ধঘোষিথ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনে তিনি ইব্রাহিম নামে পরিচিত। তিনি ব্লগে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন আর্টিকেল ‘কাইজেন’ নামের একটি সিরিজে লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আহমেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। ২০১৩-১৪ সালে ছাত্রজীবন থেকেই আবু সামির নামে একজনের সঙ্গে পরিচয়ের পর আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

এডিসি আহমেদুল হক আরও বলেন, গ্রেফতার জাকির বর্তমানে আনসার ইসলামের সক্রিয় সদস্য। সে ব্লগে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন আর্টিকেল ‘কাইজেন’ নামক একটি সিরিজ লিখেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার চিকিৎসক জাকির হোসেন কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন। তারা হলেন- নাদিম, মুসা, আমজাদ, জুনায়েদ ওরফে রনি, এজাজ, মিঠু, জুলফিকার, নোবেল ওরফে মিন্টু, ওয়ালীম, মুস্তাকিম, শায়েখ মামুন, মীর ফরহাদ, সাইফুল্লাহ, ফরিদ ও সিরাজ সংগঠনের সদস্য এবং তারা সাংঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষ করে সহকর্মী ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এসএমএস পাঠিয়ে নিরুদ্দেশ হন ডা. জাকির হোসেন। এরপর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এরপর বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডা. জাকির আমাকে একটি মেসেজ দেন, তার শাশুড়ি খুবই অসুস্থ তাকে জরুরি বাড়ি (মানিকগঞ্জে) যেতে হচ্ছে। এরপর আমি ঘুম থেকে উঠে কল করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ডা. মোহসিন বলেন, একই মেসেজ তিনি তার সহকর্মী ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদকেও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান, তার স্বামী ডা. জাকির হোসেনকে দুদিন ধরে মোবাইল ফোনে পাচ্ছেন না। তখনই আমি চিন্তায় পড়ে যাই এবং বিস্তারিত বিষয় নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি। তার স্ত্রীকেও ডা. জাকির মেসেজ দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তার মোবাইল বন্ধ থাকবে এবং মোবাইলে চার্জ হচ্ছে না। তারপর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি জিডি করি।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে