প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩০

‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেলেন শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেলেন শিক্ষামন্ত্রী

জনসেবা ও কূটনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা এশিয়ার নোবেল প্রাইজখ্যাত ফিলিপাইনের গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ডা. দীপু মনিসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন ও ফিলিপাইনের ১৪ জনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় ফিলিপেন গ্রান্ড হলরুমে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে যারা অবদান রাখেন তাদের জন্য প্রতি বছর গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার দিয়ে থাকে।

এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক মনোজ্ঞ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ডা. দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৯ সালে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসনও ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য আইন, স্বাস্থ্য-নীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি ছিল মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ডা. দীপু মনির প্রাগ্রাধিকার ক্ষেত্র। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার কেবিনেট মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে তার দলীয় নেত্রীর এবং দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

তাছাড়া লেখালেখি, শিক্ষকতা, পরামর্শ প্রদান, গবেষণা, অ্যাডভোকেসি কর্মসূচি পরিচালনাসহ বহুবিধ কাজ করছেন। পাশাপাশি ডা. দীপু মনি দীর্ঘদিন ধরে দুস্থ ও চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত মানুষের সেবায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নে জনমত গড়ে তুলতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

ডা. দীপু মনি প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণমূলক প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ততায় একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি দলীয় নারী কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এ প্রশিক্ষণে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুজন মাস্টার ট্রেইনারের অন্যতম।

দেশের সেরা চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন দীপু মনি। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে