র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতেন তারা
রাজধানীতে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে তিনজন ভুয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইলিয়াস উদ্দিন ওরফে ক্যাপ্টেন নিশাত (২৩), মো. রাব্বি হোসেন মিঠু (২২) ও মো. রব্বানী ওরফে সাগর। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কালো রঙের র্যাবের জ্যাকেট, একটি সেনাবাহিনী পোষাকের প্যান্ট, একটি সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, এক সেট বিজিবির পোষাক, একটি বিজিবির গেঞ্জি, একটি ডিএমপি পুলিশের পোষাকের শার্ট, একটি পুলিশের ট্রাকসুটের জ্যাকেট, একটি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের গেঞ্জি ও তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
ফজলুল হক বলেন, গত ২০ নভেম্বর মো. ফয়সল পাটোয়ারী (৩২) রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে অপহরণ হন। অপহরণকারীরা র্যাব পরিচয়ে তাকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তুলে চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি ও টাকা নিয়ে আসতে বলে অপহরণকারীরা।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর ভাই নগদ টাকাসহ ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে মো. ইলিয়াস উদ্দিন ওরফে ক্যাপ্টেন নিশাতের সঙ্গে দেখা করে। দেখা করার পর নগদ টাকা ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এটিএম বুথ থেকে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভুক্তভোগীকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন।
র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকা থেকে ওই তিনজন ভুয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা র্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোষাক পরিধান করে প্রতারণা, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতার ইলিয়াস উদ্দিন নিজেকে র্যাবের অফিসার ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দিতেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন