প্রকাশিত : ৪ জানুয়ারী, ২০২৩ ১৬:৩৬

তাপমাত্রা কমেনি, তারপরও যে কারণে তীব্র শীত

অনলাইন ডেস্ক
তাপমাত্রা কমেনি, তারপরও যে কারণে তীব্র শীত

তাপমাত্রা খুব বেশি নিচে নামেনি। কিন্তু সারাদেশেই এখন তীব্র শীতের অনুভূতি। মূলত কুয়াশা ও মেঘের কারণে রোদ উঠতে না পারায় কমে গেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান, একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসের কারণে জেঁকে বসেছে শীত। এ পরিস্থিতি আগামী ৪ থেকে ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। বুধবার সকালে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল ছাড়া আর দেশের কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। বিচ্ছিন্নভাবে একটি স্থানে (শ্রীমঙ্গল) তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করেনি আবহাওয়া বিভাগ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ থেকে কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ঢাকায়ও শীত তীব্র হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেঘ-কুয়াশায় ঢেকে আছে ঢাকার আকাশ, সঙ্গে আছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। রাতের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহ নেই, তারপরও কিন্তু তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এর কারণটা হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যটা কমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে কোনো স্থানে হয়তো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে পার্থক্য ছিল ১৫ ডিগ্রি, এখন সেখানে হয়তো পার্থক্য কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। ঢাকায় দেখুন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি, আর সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। পার্থক্য ৫ ডিগ্রির মতো, কিন্তু আগে সেখানে ১৫ ডিগ্রির মতো পার্থক্য ছিল। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।’

দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে হাফিজুর রহমান বলেন, তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণ হলো দিনের বেলা সূর্য নেই, মেঘ ও কুয়াশার জন্য রোদ উঠতে পারছে না। এছাড়া সঙ্গে উত্তরের বাতাসও রয়েছে। এসব কারণেই মূলত তাপমাত্রার পার্থক্য কমে শীত বেড়েছে।

আগামী চার-পাঁচদিন শীতের এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আপাতত শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা নেই। এ পরিস্থিতি কাটার পর পরবর্তী অবস্থাটা বুঝা যাবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এসময়ে সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে