প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারী, ২০২৩ ১৬:০০

অসৎ উপায়ে এক টাকাও উপার্জন করিনি, স্ত্রী-সন্তান টাকা পাঠায়

তাকসিম এ খান
অনলাইন ডেস্ক
অসৎ উপায়ে এক টাকাও উপার্জন করিনি, স্ত্রী-সন্তান টাকা পাঠায়

অসৎ উপায়ে এক টাকাও উপার্জন বা দুর্নীতি করেননি বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমি তো কোনো দুর্নীতি করিনি। সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। এখন আমার যা উপার্জন তা সবার কাছে স্পষ্ট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করিনি।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটি বিষয়। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনো পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সম্পূর্ণ সৎভাবে উপার্জন করি, যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী, সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ড। তাদের জন্য টাকা পাঠানো দরকার হয় না।’

যুক্তরাষ্ট্রে তার কেনা কোনো বাড়ি নেই দাবি করে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির ডাহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল (ভালো) জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে-মধ্যে টাকা পাঠায়। এখন যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য যে ডাহা মিথ্যা প্রতিবেদন করলো, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছে। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনো কিছু কেনার কখনো দরকার হয়নি। এছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। আমি যা বেতন পাই সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে আমাদের ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনো দরকার হয় না আমার।’

যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এই প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা নেই। এই ১৪টি বাড়ির মধ্যে শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। বাকি কোনোটিই আমার বা আমার পরিবারের কারও নয়।’

ওয়াসা এমডি বলেন, ‘যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে