অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৩’ এর আয়োজন উপলক্ষে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ তথা সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। মেলাটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান ও উৎস।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আরও বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বই পড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষাচর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ বাংলা একাডেমি মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্বপালন করে আসছে। ভাষা শহিদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে- এ কামনা করি।
বইমেলার সাফল্য কামনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা। বাংলা একাডেমির এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে বইমেলা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন