শনিবার ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামীকাল শনিবার ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে নবরূপে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জনাতে নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে নতুন রুপে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে টানানো পোস্টার-ব্যানার। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নগরী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সর্বশেষ ময়মনসিংহে এসেছিলেন এবং সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এবারের সফরেও ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি-সমাবেশে ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত হবে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সফরে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, সমাবেশের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে নৌকার আদলে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনতার ঢল নামবে এবং ওইদিন উৎসবের নগরীতে পরিণত হবে।
বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু জানান, বিভাগ ঘোষণার পাশাপাশি ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নে ময়মনসিংহকে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃতজ্ঞতা থেকেই সভানেত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা সর্বোচ্চটুকু করছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, কিছু চাওয়ার আগেই ময়মনসিংহের অনেক উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতে ময়মনসিংহবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ থেকে আট রুটে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, গফরগাঁও-ময়মনসিংহ, নান্দাইল-ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-জামালপুর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, জারিয়া-ঝানঞ্জাইল-ময়মনসিংহ রুটে আটটি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ট্রেনগুলো সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সব স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সফরেও বেশ কিছু উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো ময়মনসিংহ নগরী। টহল এবং তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা বলেন, নগরীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কয়েক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনসভার দিন শহরজুড়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন