প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১২:২৯

মৈত্রী পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে: মোদী

অনলাইন ডেস্ক
মৈত্রী পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে: মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন দুই দেশের মধ্যে শক্তি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই পাইপলাইনটি বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংযোগের একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনের সময় মোদী এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয় এটি নিয়ে গর্বিত এবং আমরা আনন্দিত যে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবদান রাখতে পেরেছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সূচনা করা হয়। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহের খরচ কমবে এবং সরবরাহের কার্বন ফুটপ্রিন্টও কমবে।

দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে মোদী বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

রেলযোগাযোগ স্থাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে রেলযোগাযোগ রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেন প্রেরণে সহায়তা করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দূরদৃষ্টির জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর একদিন পর এ পাইপলাইনের উদ্বোধন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর একদিন পর এ উদ্বোধনকে এক শুভ সমাপতন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি অরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ রূপকল্পে সমগ্র অঞ্চলের সম্প্রীতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই যৌথ প্রকল্পটি সে দৃষ্টিভঙ্গির একটি নিখুঁত দৃষ্টান্ত।

মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই প্রকল্পের বিষয়ে তার সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনটির বাস্তবায়ন দু’দেশের মধ্যে চলমান জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াবে এবং বাংলাদেশে, বিশেষ করে কৃষিখাতে আরও প্রবৃদ্ধি ঘটাবে।

পাইপলাইনটির বার্ষিক এক মিলিয়ন মেট্রিক টন হাইস্পিড ডিজেল পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় উচ্চগতির ডিজেল সরবরাহ করবে।

পাইপলাইনটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে আসামভিত্তিক নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেডের (এনআরএল) মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পার্বতীপুর ডিপোতে ডিজেল বহন করবে।

ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড ও বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। দুই দেশের মধ্যে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনটি আনুমানিক ৩৭৭ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে