প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩০

প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করছেন মাধ্যমিক শিক্ষকরা। সারাদেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক এতে অংশ নিয়েছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) আয়োজনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বিভিন্ন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে আমাদের পাহাড়সম বৈষম্য।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে দেওয়া হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতনস্কেল সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করেছিলেন তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেছেন।

সমাবেশে আসা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ বাবপুর জিরতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আজম খান বলেন, ২৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, শিক্ষা জাতীয়করণ করা হোক। এতে আমাদের বেতন বাড়বে, অভিভাবকদের খরচ কমবে, শিক্ষার্থীরাও অল্প বেতনে পড়তে পারবে।

ফরিদপুর বড়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিউলী বেগম বলেন, আমাদের এমপিওভুক্তি থেকে জাতীয়করণ করে দিলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌহারিবাড়ি ভাঙাবাড়ি মতিলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিব শংকর মণ্ডল বলেন, আমি ৯ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় আছি। শিক্ষকদের ন্যায্যদাবি সম্মানের সঙ্গে পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে