প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:০৬

৩ বইয়ের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

অনলাইন ডেস্ক
৩ বইয়ের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বঙ্গবন্ধু

নিজের লেখা তিনটি বইয়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ দিয়েছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেসার (এফওএসডব্লিউএএল)। বই তিনটি হলো- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২’।

প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হলো ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার।

রোববার (২৬ মার্চ) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএলের তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কৌর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।

তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশের জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

মিসেস কৌর লিখেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশী নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ, যা শুধু তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!

বার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে