প্রকাশিত : ৩ মে, ২০২৩ ১১:৪০

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাউশির ৭ স্তরের নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাউশির ৭ স্তরের নির্দেশনা

চলতি বছর থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে শুরু থেকেই অন্ধকারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দফা এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিলেও পরিষ্কার হয়নি। ফলে নানা ধরনের প্রশ্ন ছিল তাদের মধ্যে।

এবার একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে। এসব নির্দেশনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কাজ কি হবে, তার পূর্ণাঙ্গ একটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার পর নতুন কারিকুলাম নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা নতুন নির্দেশনায় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

এ নির্দেশনা সব জেলা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে পাঠানো হয়েছে। যথাযথভাবে এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্রেণি শিক্ষকদের করণীয়
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শ্রেণি শিক্ষকদের দেওয়া নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিচার্স গাইড ও পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণসহ শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গতানুগতিক শিক্ষককেন্দ্রিক পদ্ধতি পরিহার করে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে প্রচলিত ভূমিকার ঊর্ধ্বে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে হয়ে উঠতে হবে সহ-শিক্ষার্থী। হোম ভিজিট ও উঠান বৈঠক করতে হবে।

প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও অনুসন্ধানমূলক কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ডায়েরি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য সহয়তামূলক একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন শ্রেণি শিক্ষকরা, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।

শ্রেণি শিক্ষক যেসব সমস্যা চিহ্নিত করবেন, তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাপ্তাহিক সভায় আলোচনা করা ও সমস্যা সমাধানের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

স্লো লার্নার ও অ্যাডভান্সড লার্নার চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাদের শিখন পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। মূল্যায়নের মূলনীতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে ও মূল্যায়নের ধারাবাহিক রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দলগত কাজসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষককে মূলত ফ্যাসিলেটরের ভূমিকা পালন করতে হবে। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে কারিকুলাম সংশ্লিষ্ট বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের করণীয়
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেওয়া নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, এনসিটিবির দেওয়া রুটিন বা গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং শিখন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে হবে। শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে হবে। শিক্ষাক্রমে নির্দেশিত কৌশল ও পদ্ধতি শ্রেণি পাঠদানে অনুসৃত হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ছোট পরিসরে শিক্ষা উপকরণ মেলার আয়োজন করতে হবে। শিক্ষার্থী,অভিভাবক, শিক্ষকসহ অংশীজনের সক্রিয় সমর্থন ও অংশগ্রহণের জন্য সমন্বিত গণযোগাযোগ কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বছরে তিনটি অভিভাবক সমাবেশ নিশ্চিত করা এবং অভিভাবকদের সুবিধাজনক গ্রুপ করে শ্রেণি কার্যক্রম দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব শিক্ষকের লেখার অভ্যাস রয়েছে, তাদের লিখনীতে নতুন কারিকুলামের পজিটিভ দিক তুলে ধরার জন্য উৎসাহ দিতে হবে।

প্রতি তিনমাসে কমপক্ষে একবার শিক্ষকদের ইন হাউজ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। প্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত সব বিষয়ই যথাসম্ভব বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এতে তিনি আন্তঃবিষয় সম্পর্কটি বুঝতে ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

প্রাত্যহিক সমাবেশে নীতি বাক্যের সঙ্গে কারিকুলাম বাস্তবায়নে শপথ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ফটকে দৃষ্টিগোচর স্থানে কারিকুলাম বাস্তবায়নের স্লোগান বা প্রত্যয় লেখার ব্যবস্থা করতে হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিখন-শেখানো কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা ও শিক্ষকদের পরামর্শ দিতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। শিক্ষার্থীদের দ্বারা কম্পিউটার ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, গ্রিন ক্লাব-পরিবেশ ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, হেলথ ক্লাব গঠন ও সক্রিয় রাখায় উৎসাহিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের করণীয়
শিক্ষার্থীদের করণীয় নিয়ে অধিদপ্তর বলছে, নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। সঠিক সময়ে পড়াশোনা করা, খাওয়া, ঘুমানো এবং মানসিক বিকাশের অন্য খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে।

এনসিটিবি প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও সম্পূরক পঠনসামগ্রী পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নতুনকে গ্রহণ করার উপযুক্ত মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সরকার প্রদত্ত শিখনসামগ্রী যথাসময়ে সংগ্রহ করতে হবে।

শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে অ্যাক্টিভিটি বেইজড লার্নিং কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিদ্যালয় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। অবসর সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।

শিখনসংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় নিয়ে অভিভাবকের (মা-বাবা) সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শিখনের সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হবে। দলগত কাজে সহপাঠীদের মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য গঠিত ক্লাবগুলো মধ্যে অন্তত দুটি ক্লাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

অভিভাবকদের করণীয়
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অভিভাবকদের করণীয় নিয়ে অধিদপ্তর বলছে, সন্তানদের নিজের এবং বাড়ির ছোট ছোট কাজগুলো করানোর বিষয়ে উৎসাহ দিতে হবে। সন্তানদের সময় দেওয়া, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে হবে। সন্তানদেরকে ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং ভুল বা অপ্রয়োজনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

কারিকুলাম বিস্তরণে অভিভাবকদের যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। সন্তানদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানদের প্রাইভেট ও কোচিংয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সন্তানদের মূল্যায়নের বিষয়ে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকতে হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের করণীয়
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের করণীয় নিয়ে অধিদপ্তর বলছে, পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষা উপকরণ যথাসময়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট উপকরণ ও এনসিটিবি প্রদত্ত রুটিন-গাইডলাইন অনুযায়ী শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কি না, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উপকরণ মেলার আয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সহযোগিতা করা এবং নির্বাচিত সেরাদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা যেন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে খরচ হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করা।

প্রধান শিক্ষকদের কারিকুলাম বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ ও অভিভাবক সমাবেশ নিশ্চিতকরণে উৎসাহিত করা। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিয়মিতভাবে সরাসরি বা জুম সভার আয়োজন করা এবং মাসিক প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো।

দুর্গম এলাকার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও মনিটরিং করা। সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধানে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া। গাইড নোট বই, কোচিং বিষয়ে নীতিমালা বহির্ভূত কার্যক্রম বন্ধের জন্য উপজেলাপর্যায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের করণীয়
মাউশির নির্দেশনায় এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের কার্যক্রম সমন্বয় করা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভ্রমণসূচি পর্যালোচনা করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া।

উপকরণ মেলার আয়োজন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে মেলায় তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এলাকার শিক্ষাসংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মেলায় উপস্থিত করানো এবং মেলা থেকে শিক্ষার উপকরণ ক্রয়ে উৎসাহিত করা। মাসিক প্রতিবেদন আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে পাঠানো।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে জুম বা সরাসরি সভার আয়োজন করা। জেলায় এ সংক্রান্ত যাবতীয় আয়োজনে আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও সহযোগিতা গ্রহণ করা। স্কুল পরিদর্শনে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা ও পরমর্শ দেয়া।

আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের করণীয়
আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের করণীয় নিয়ে অধিদপ্তর বলছে, টিচার্স গাইড-পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বিষয়ে এনসিটিবির সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য দ্রুত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে আপডেট দেওয়া।

শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ওপর প্রস্তুত করা বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে থানা, উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক পর্যায়ের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রচার করা। স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি যেমন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নিয়ে একদিনের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের ব্যবস্থা করা।

জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যথাযথ মনিটরিং করছেন কি না, তা তদারকি করা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করে সময়ে সময়ে জুম সভার আয়োজন করা।

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবল ও দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করে কার্যকর কৌশল ও নীতি নির্ধারণে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা। উপকরণ মেলায় অংশ নেওয়া, উপকরণ ক্রয় ও বিক্রয়ে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা।

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা। প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের সবপর্যায় মনিটরিং করা ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো। নিয়মিত অংশীজন সভার আয়োজন করে এ সংক্রান্ত মতামত বা সুপারিশ বাস্তবায়ন করা। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জুম সভার আয়োজন করা এবং তার প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে