প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৩ ১৭:৫১

ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক নেই, অনিয়ম করলেই শাস্তি: ইসি আলমগীর

অনলাইন ডেস্ক
ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক নেই, অনিয়ম করলেই শাস্তি: ইসি আলমগীর

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা অনিয়ম করার চেষ্টা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গকারী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। শাস্তি কী হবে, তা অনিয়মের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে। ব্যক্তি যে দলেরই হোক, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিল্প এলাকা হওয়ায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের বসবাস। তাই সেখানকার মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তবে নির্বাচনী পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো।

ইসি আলমগীর বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সবগুলো (৪৮০টি) কেন্দ্রই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এরমধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনে ঘিরে কোনো থ্রেট না থাকলেও শিল্প এলাকা হওয়ায় দুষ্কৃতকারী বা অসৎ উদ্দেশে কেউ যেন অন্যায় পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইসি আলমগীর জানান, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে ৭৪ জন। জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। সেখানে র্যাবের ৩০টি টিম ও বিজিবির প্রায় ১৩টি প্লাটুন থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ প্রচুর আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যেন কোনো বিশঙ্খলা না হয়।

তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে সে দলের বা যেই হোক না কেন তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। অনিয়মের মাত্রার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কী নেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে অনিয়মকারী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন- মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটিতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৮ জন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে