প্রকাশিত : ২ জুন, ২০২৩ ১১:২১

৪১ খামারি ও উদ্যোক্তা পেলেন ডেইরি আইকন পুরস্কার

অনলাইন ডেস্ক
৪১ খামারি ও উদ্যোক্তা পেলেন ডেইরি আইকন পুরস্কার

দুধ উৎপাদন বাড়াতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে দুগ্ধ খাতে সফল দেশের ৪১ জন খামারি ও উদ্যোক্তাকে ‘ডেইরি আইকন পুরস্কার–২০২২’ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো চারটি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

এরমধ্যে ডেইরি ক্যাটাগরিতে ২০ জন, দুধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯ জন, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৮ জন ও খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে চারজনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস–২০২৩’ উদ্যাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, স্থায়ী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য ছোট মনির এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ।

অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল এবং সহকারী এফএও প্রতিনিধি নূর আহমেদ খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের উপকারিতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রেয়াজুল হক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং ডেইরি খাতের উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে দুধের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। দুধের ঘাটতি পূরণ করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে দুগ্ধ উৎপাদনে যে ঘাটতি আছে, সে ঘাটতি পূরণে অনেক বেশি যত্নবান ও তৎপর হতে হবে। এটাই হোক বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে সবার প্রত্যয়।

তিনি আরও বলেন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত একসময় অবহেলিত ছিল। বঙ্গবন্ধুই প্রথম এ খাত সংশ্লিষ্টদের সম্মানীত করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এ খাত সংশ্লিষ্টদের সম্মানীত না করলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না।

দুধ একটি আদর্শ খাদ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দুধ পান না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শারীরিক ও মেধার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনসহ অন্যান্য উপাদান সবচেয়ে বেশি দুধের মধ্যেই রয়েছে।

‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প: সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’- এ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ঢাকার ১১টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানো হয়।

ঢাকার বাইরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এতিমখানায় শিশুদের দুধ খাওয়ানো, কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, র্যালি, সভা, পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে