আরও ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনছে সরকার
দেশি-বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৯২১ টাকা৷
দেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড ও কাতারের মুনতাজাত থেকে এ সার কেনা হবে।
বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৯তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১০৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৭ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ১২ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার (অপশনাল) ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬১৭ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সাঈদ মাহবুব খান আরও জানান, সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ১৭তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৯৮ কোটি ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন, কাতারের মুনতাজাত থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এবং সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানির কাছ থেকে ইউরিয়া সার আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন