১২ ঘণ্টা পর তেলবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে তেল অপসারণের সময় ফের বিস্ফোরণের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিল্লুর রহমান।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
এর আগে সোমবার (৩ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে শহরের পৌরসভার খেয়াঘাট সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন দগ্ধ ও আহত হন।
আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিলে গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপরজন বরিশালেই চিকিৎসাধীন। বাকি ১১ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন চারজন। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিস্ফোরিত জাহাজে ডিজেল ও পেট্রোল বোঝাই ছিল ১১ লাখ লিটার। এরই মধ্যে রোববার (২ জুলাই) প্রায় সাত লাখ লিটার তেল অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার বাকি তেল অপসারণের দ্বিতীয় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ, আহত ও নিখোঁজ হন অনেকে। এদের মধ্যে শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল শওকত জামিন (২৪) ও দীপ সমাদ্দার (২৫)। অপরজন জাহাজের সুকানি শরীফ আহমেদ (৩৫)।
আহত সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের বাবুর্চি বেলাল হোসেন বলেন, ‘একটি পাম্প সচল করে ৪-৫ ঘণ্টা কাজ করা যায়। সেখানে অতিরিক্ত সময় কাজ করায় পাম্প গরম হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তখন আমি ছিলাম রান্নার কাজে। আগুন দেখেই নদীতে লাফিয়ে পড়ি। ওই সময়ে নৌবাহিনীর দুজন গোসল করছিলেন। তাদের কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।’
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন