প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৩ ২৩:৩০

বগুড়ার ৭ আসনের এমপি বাবলুর ‘দেহরক্ষী’ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার ৭ আসনের এমপি বাবলুর ‘দেহরক্ষী’ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

বগুড়া-৭ আসনের (গাবতলী-শাহজাহানপুর) সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুককে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তাার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 
এর আগে সম্প্রতি ওমর ফারুকের দু হাতে রাম দাসহ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা ডোমনপুকুর এলাকা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। 
ডিবি পুলিশ বলছে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রভাব ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বেড়ানোর গোপন তথ্যের ওমর ফারুক গ্রেপ্তার হয়েছেন।৪০ বছরের ওমর ফারুক শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর দেওয়ানপাড়া মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে এবং মাঝিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়,ওমর ফারুক বগুড়া-৭ আসনের (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত। যেকোনো অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। এই পরিচয়ের পাশাপাশি ওমর ফারুক রাম দা, হাসুয়া ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে বেড়াতেন। তার এসব কর্মকান্ডে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছের লোক হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস পান না। এমনকি সংসদ সদস্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বরে রামদা হাতে নিয়ে ওমর ফারুকের ঘোরাফেরার ছবি ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে। 

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর বলেন, ফারুক এমপির নির্দেশে নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।তার ভয়ে এলাকার লোক অতিষ্ঠ। 

তবে ওমর ফারুকের দেহরক্ষীর বিষয়টি অস্বীকার করে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। তিনি বলেন, এরকম অনেক মানুষই তার পিছনে থাকেন। ফারুক রাজনীতি করেন এবং মাঝিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগে নাম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জিয়াউল হক জুয়েল। তবে তার দাবি, ধানের মধ্যে যেমন চিটা থাকে, সেভাবে ওমর ফারুকের নাম কমিটিতে এসেছে। কিন্তু মাঝিড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি এখনও অনুমোদন হয়নি।প্রাথমিকভাবে তার নাম রয়েছে। 
জিয়াউল হক জুয়েল আরও বলেন, ওমর ফারুকের অনেক আগে থেকেই রেজাউর করিম এমপির হয়ে কাজ করেন।এমপির কাজ করতে গিয়ে ঝামেলায়ও জড়িয়েছে। তবে আগে তার বিষয়ে খারাপ রিপোর্ট থাকলে কমিটিতে রাখা হতো না।
ডিবির ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, আমাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল ওমর ফারুক দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে স্থানীয়ভাবে ভয়-ভীতি দেখাতেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ২টি দেশীয় অস্ত্র রাম দাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে