প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:৪৭

কুয়ালালামপুর থেকে আসা বিমানে ৬৮ স্বর্ণবার আনেন মেকানিক শফিকুল

অনলাইন ডেস্ক
কুয়ালালামপুর থেকে আসা বিমানে ৬৮ স্বর্ণবার আনেন মেকানিক শফিকুল

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৮ কেজি স্বর্ণবারসহ শফিকুল ইসলাম (৩৩) নামের বিমান বাংলাদেশের এক কর্মকর্তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোববার (২০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে ৬৮টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা দল। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি-৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সব কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাতে সাড়ে ৯টায় হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হ্যাঙ্গারের সামনে পার্ক করে রাখা হয়।

জিয়াউল হক বলেন, বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিল এপিবিএন। সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুব দ্রুত এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, তার চলাচলের ধরন দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন নেমে আসেন এবং স্থান ত্যাগের চেষ্টা করেন তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছে ৬৮টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। এ সব স্বর্ণবারের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানান, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই স্বর্ণবার সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই স্বর্ণবারের গন্তব্য সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না জানিয়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যহীন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

উদ্ধার স্বর্ণ যার ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম এবং বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আটক বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালে ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তার বাড়ি খুলনা জেলার দৌলতপুরে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে