১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ নিশ্চায়ন না করলে ফল বাতিল
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ‘প্রাথমিক নিশ্চায়ন’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে এ নিশ্চায়ন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে এ নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার মধ্যে নিশ্চায়ন না করলে প্রথম ধাপে কলেজ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নির্বাচন বাতিল বলে বিবেচিত হবে। সেক্ষেত্রে তাদের আবার দ্বিতীয় ধাপে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ জন পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে আবেদন করেও কলেজ পাননি ৪৫ হাজার ১৮৩ জন।
পছন্দের কলেজ না পেলেও করতে হবে নিশ্চায়ন
অনেকে পছন্দের কলেজ পাননি। এজন্য তারা প্রাথমিক নিশ্চায়ন নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তারা বলছেন, পছন্দের কলেজ না পেলেও শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপে নিশ্চায়ন করতে হবে।
তারা জানান, কারও হয়তো প্রথম পছন্দ ছিল ঢাকা কলেজ, কিন্তু তৃতীয় পছন্দ দেওয়া ছিল অন্য একটি কলেজ। ফলাফলের ভিত্তিতে কলেজ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের হয়তো দুই-তিন নম্বরে দেওয়া পছন্দের কলেজ পেয়েছেন।
যারা এমন প্রথমদিকের পছন্দের কলেজ পাননি, তাদেরও এখন নিশ্চায়ন করে মাইগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি কেউ নিশ্চায়ন না করেন, তবে তার মাইগ্রেশনের অপশন বন্ধ হয়ে যাবে। তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। এতে তৃতীয় যে কলেজ পেয়েছিল সেটিও পরে নাও পেতে পারেন। এতে তাকে দুই কূলই হারাতে হবে।
দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপে আবেদন
এদিকে, একাদশে ভর্তিতে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১২-১৪ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। প্রথম মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর।
এরপর ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা। আর ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে।
আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে। আর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি চলবে। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
গত ২৮ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ১৬ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
অন্যদিকে সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। সব বোর্ড মিলিয়ে পাস করেছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে সাড়ে ৯ লাখেরও বেশি আসন খালি পড়ে থাকবে। তবে পছন্দের কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন অনেক শিক্ষার্থী।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন