সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নতুন নিয়ম-কানুন
পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামী মাস থেকে। আর ভ্রমণ পিপাসুদের যাতায়াত শুরু হবে বিভিন্ন পর্যটক স্পটে। তবে সেন্টমার্টিন যেতে এখন মানতে হবে নতুন নিয়ম-কানুন। একইসঙ্গে করতে হবে বাধ্যতামূলক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন।
সাধারণত পর্যটন মৌসুম নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে বেশিরভাগ পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে যান। এখন থেকে চাইলেই পর্যটকরা দ্বীপটিতে যেতে পারবে না। সেখানে যেতে হলে মানতে হবে বেশ কিছু ভ্রমণের নিয়ম-কানুন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমনটিই জানানো হয়েছে।
তবে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুট করে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করতে হলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ ছাড়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফিও দিতে হবে পর্যটকদের। এমনকি দ্বীপে দিনপ্রতি সঠিক ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটক নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার মূল দায়িত্ব বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে পর্যটকের সংখ্যা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বের ১৭ বর্গকিলোমিটারের ক্ষুদ্র দ্বীপকে স্থানীয়রা বলে নারিকেল জিঞ্জিরা। দ্বীপটির পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে এমন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, সেন্টমার্টিনে যেতে বাধ্যতামূলক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ফি’র বিষয় নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এটা যেহেতু হঠাৎ করে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত, তাই হুট করে প্রয়োগ করাটা ঠিক হবে না। ভ্রমণকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে পর্যায়ক্রমে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া নিবন্ধনের মাধ্যমে যদি সেন্টমার্টিনে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাহলে কক্সবাজারের পুরো পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন হয়েছে তা আমরা পেয়েছি। এখন এই বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা করছি না। কারণ আলোচনা করার সুযোগও আমাদের হয়নি। এই বিষয় নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, সেন্টমার্টিনের বিষয়ে সবস্তরের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সেন্টমার্টিনগামী সব জাহাজ মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। যেহেতু আগামী মাস থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন