প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:১১

‘পিএইচডি ডিগ্রি জাতির কী কল্যাণে আসছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
‘পিএইচডি ডিগ্রি জাতির কী কল্যাণে আসছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে’

শিক্ষকদের অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি জাতির জন্য কী কল্যাণে আসছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি জাতির কোনো কল্যাণে আসছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি সরকারি স্কুল-কলেজের পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা যেন বাড়তি আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’

‘শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারী (শিক্ষক) কর্তৃক অর্জিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ’ শীর্ষক একাডেমিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ইউজিসিতে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশ ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করা হলেও পিএইচডি স্কলারশিপ সুবিধা কমানো হয়নি। বরং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য স্কলারশিপ সুবিধা চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য নির্বিঘ্ন পরিবেশ অত্যাবশ্যক। গবেষণা ও শিক্ষার জন্য শিক্ষাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার।

ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজ।

সেমিনারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, এগ্রিকালচার এক্সটেনশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী ও ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান বিন হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটির অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল নাসের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে