প্রকাশিত : ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৫:৫২

সাবরিনার বিষয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

অনলাইন ডেস্ক
সাবরিনার বিষয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় দণ্ডিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন কারাগার থেকে বের হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তা নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ করলে তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হারুন অর রশীদ তেজগাঁও বিভাগের ডিসি থাকাকালীন ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১২ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের ১৬ জুন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, আমি যখন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ছিলাম, তখন করোনার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আমরা তাকে গ্রেফতার করি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

তিনি বলেন, এর ভিত্তিতে আদালত ডা. সাবরিনাকে সাজার আদেশ দেন। সম্প্রতি সাজাভোগ শেষে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারাগারের বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। তবে তিনি কী বলছেন সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ, মহামান্য আদালত তার অপরাধ বিবেচনায় তাকে সাজা দিয়েছেন।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করছেন সাবরিনা। তিনি আদৌ কারাগারে এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন কি না বা সমস্যায় পড়লে তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন কি না, নাকি ভাইরাল হওয়ার জন্য বা ভিউ বাড়াতে এসব বলছেন তা জানি না। তবে এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা মনে করি বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিৎ।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার ওই মামলায় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালত।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে