অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সেনা প্রধানের বক্তব্যে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা বলা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আহ্বানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংসদ ভেঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকে অংশগ্রহন করে শিক্ষক—ছাত্রদের ১৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
দীর্ঘ ৫ ঘন্টার দীর্ঘ আলোচনার পর বঙ্গভবনের সামনে সংবাদ প্রতিনিধিদের সামনে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তারা জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় প্রতিনিধি দলের প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে দায়িত্ব অর্পনে সবাই সম্মত হয়েছেন।
তারা জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছাত্র ও গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সর্বজীন গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সরকার গঠন করা হবে। প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ আরো জানান, দেশের ছাত্র সমাজ এই সময়ে যে দায়িত্ব পালন করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীর পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে এভাবেই দেশের জন্য কাজ করা ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা একটা এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এই অবস্থায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার পদ্ধতি আছে। সরকারের মেয়াদ এখনও ঠিক করা হয়নি। তিনি আরো যুক্ত করেন, সমন্বয়কের মধ্য হতে আগামীর রাষ্ট্র গঠনের নেতা আমরা পেয়ে গেছি। ৩ বাহিনীর প্রধানের সাথে আলোচনা অন্তত আন্তরিক ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে, তারা বলেন আমরা প্রাথমিক ভাবে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তালিকা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দিয়েছি। যেহেতু এটা প্রাথমিক তালিকা তাই আমরা নাম প্রকাশ করতে পারছি না।
১৫ জনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ জন সমন্বয়ক, লিয়াজু কমিটির ২ জন মাহফুজ আলম ও নাসির আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন।