শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ১৩ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য পাঠ করান মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ শুরুর আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বঙ্গভবনে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এছাড়া আরোও শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। বিধান রঞ্জন রায়, ফারুক-ই-আজম ও সুপ্রদিপ চাকমা ঢাকায় না থাকায় তারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
শপথ নেওয়া ১৩ উপদেষ্টা হলেন—
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন
১০. ফরিদা আখতার
১১. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১২. নুরজাহান বেগম
১৩. শারমিন মুরশিদ
এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ঢাকায় ফিরে প্রথম বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যেন না হয়। দেশবাসী যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন তাহলে দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না।
তিনি বলেন, আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণ সমাজ এটা করেছে; তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে দেশকে।