প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ০১:২৬

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নেওয়া হচ্ছে আদালতে

অনলাইন ডেস্ক
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নেওয়া হচ্ছে আদালতে
সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (ফাইল ছবি)

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে তাকে সিলেটের কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এদিকে, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বিজিবি থানায় হস্তান্তর করলেও শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি বিজিবি ও পুলিশ। বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।

 

তিনি বলেন, ‘সাবেক বিচারপতিকে বিজিবি কোনও মামলা ছাড়াই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন এ বিষয়ে।’

 

এ ব্যাপারে ব্যাটালিয়ন ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট (দনা) সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে তাকে আটক করে বিজিবি।

 

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সাবেক বিচারপতি মানিককে বলতে শোনা গেছে, টাকা লাগলে তিনি দেবেন। তার ভাইবোন দেবেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি এ দেশে (ভারত) এত কষ্ট করে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য?’

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক বিচারপতির গলায় গামছা বেঁধে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন একজন ব্যক্তি। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানান।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এই বিচারপতি অনেকটা অসহায় হয়ে বলতে থাকেন, ‘আমার কাছে ছিল ব্রিটিশ এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড। ভয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছিলাম। এখানকার দুই যুবক বলেছিল, ১৫ হাজার টাকা দিলে সীমান্ত পার করে দেবে। ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর সেই দুই যুবক ভারত সীমান্তে আমাকে নিয়ে যায়। সীমান্তে নিয়ে মারধর করে আমার কাছে থাকা ৬০-৭০ লাখ টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায় তারা। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে কলার পাতার ওপর শুইয়ে রেখে তারা পালিয়ে যায়।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, দনা পাতিছড়া গ্রামের রফিকুল হোসেনের ছেলে সাদ্দামের সহায়তায় অবৈধভাবে শুক্রবার বিকালের দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে তাকে দনা বিজিবির সদস্যরা আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। সাদ্দাম হোসেনের বসতবাড়িটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তঘেঁষা। সে ভারতে অবৈধভাবে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশ করে থাকে।

উপরে