শহীদ মিনারের গণজমায়েতে ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নামার আহ্বান
রাজধানীর বাংলা মোটরে মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি বাংলা মোটর থেকে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।
মুখ্য সমন্বয়কের বক্তব্য
মিছিল শুরুর আগে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ৫ আগস্টের মতো ছাত্র-জনতাকে মঙ্গলবার রাজপথে নামার আহ্বান জানান।
শহীদ মিনারে সমাবেশ অব্যাহত
যদিও ঘোষিত 'জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র' পাঠের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে, তবে শহীদ মিনারে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা অপরিবর্তিত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান জানান, সমাবেশে সংগঠনটি জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবে এবং ১৫৮ জন সমন্বয়ক-সহসমন্বয়ক শপথ গ্রহণ করবেন।
ঘোষণাপত্র ও জাতীয় ঐক্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানিয়েছে, তাদের ঘোষণাপত্রে ঐতিহাসিক ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের মূল চেতনা, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা, এবং জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে দলিল আকারে প্রণয়ন করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, জনগণের ঐক্য এবং ভবিষ্যতের পথচিত্র সুস্পষ্ট করবে।
‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ দাবির সংযোজন
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং একটি প্রগতিশীল, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানাবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি
সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম জানান, সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী এবং অংশগ্রহণকারী পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এটি জাতির ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও ঐক্যের ভিত্তি সুসংহত করবে।
সমাবেশে সব দল-মতের মানুষকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বিশ্বাস করেন, এটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।