শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশ লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড, আহত কয়েকজন
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীর ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারের প্রতি দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছেন। রবিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেসক্লাব ও শহীদ মিনারে অবস্থানকালে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিপেটা চালায়, যার ফলে কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সরাসরি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। কেউ পলিথিন ও পাটি বিছিয়ে রাতযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, যিনি বলেন—
“২৪ ঘণ্টা আমরা এখানে থাকব। যতক্ষণ সরকার আমাদের দাবির প্রজ্ঞাপন জারি করবে না, ততক্ষণ শহীদ মিনারে অবস্থান চলবে। ইনশাআল্লাহ, বৈচিত্র্যময় কর্মসূচি আমরা চলমান রাখব।”
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আরও জানান, দেশের ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছয় লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, দুই-চারজন শিক্ষক থাকবেন বাকি সবাই আন্দোলনে অংশ নেবেন।
এর আগে রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশ শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর শিক্ষকরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। কিছু শিক্ষক আবারও প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নেন, অন্যরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
শিক্ষকরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ ও অন্যান্য প্রণোদনা প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তারা আন্দোলন স্থগিত করবেন না। ইতিমধ্যে অনেকবার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এবার প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কিছু বিভাজন দেখা দিয়েছে। একপক্ষ প্রেসক্লাব থেকে শহীদ মিনারে সরানোর পক্ষে, অন্যপক্ষ লংমার্চ করে সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার দাবি তুলেছেন। তবে শিক্ষক নেতারা সবার উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন— প্রজ্ঞাপন জারির আগে আন্দোলন বন্ধ করা হবে না।
