প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২৪ ০১:৩০

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির ৮০ জনের নামে মামলা

শিবগঞ্জ সুজা হত্যা মামলা
মহাস্থান প্রতিনিধিঃ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির  ৮০ জনের নামে মামলা

বগুড়ার শিবগঞ্জে শাহ আলম সুজা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের নামে মামলা আদালতে মামলা। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্রা ইউনিয়নের মহাবালা গ্রামের মৃত ছামুস উদ্দিন আহমেদের পুত্র ভিকটিম শাহ আলম সুজা। সে এলাকায় বিএনপির নেতার্মীদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে বাড়ি ফির ছিলেন। এসময় মহাজোটের ক্যাডার বাহীনিরা এলাকায় সাধারণ জনগণের ওপর বিভিন্ন অন্যায় নির্যাতন করতে থাকে। ভিকটিম শাহ আলম সুজা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে যান।  একপর্যায়ে তারা সুজার ক্ষতি সাধনের সুযোগ খোঁজেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জানুয়ারি ২০২১৮ ইং সালের শুক্রবার মহাবালা স্কুল মাঠে তৎকালীন মহাজোট এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ'র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুজা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুজা মহাবালা ব্রিজের সন্নিকটে পৌঁছলে পূর্বে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ৫০/৬০ জন এ মামলার প্রধান আসামী সদ্য বিদায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ৯নং আসামী একাত্তর টিভির উপস্থাপিকা ফারজজনা রূপার পরিকল্পনা, হুকুম ও নির্দেশনায় বিরোধী দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিশ্চিন্ন করার লক্ষ্যে তারা দলবদ্ধ হয়ে সুজার মাথায় আঘাত করে। একপর্যায়ে এ মামলার ১২নং আসামী শাহ নেওয়াজ বিপুল ও ১৫ নং আসামী সেবক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রুপম ভিকটিম সুজার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত কালো হাইস মাইক্রোবাস যোগে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে স্বাক্ষীরা মামলায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা সুজার পরিবারে জানালে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সুজার সন্ধান মিলাতে পারে না। এরপর শাহ আলম সুজার সন্ধান কোথাও না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে জিডি এন্টি্র করেন। পরবর্তী  ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার নওগাঁ জেলার রানীনগর থাা এলাকায় শাহ আলম সুজার অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর সুজার পরিবারের লোকজন জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজার লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর সুজার পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নিতে নারাজ।  তারা বার বার থানায় মামলা করতে গেলে উল্টো পুলিশই তাদের সিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে তারা মামলা করার সাহস হারিয়ে ফেলেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার হাসিনা পদত্যাগের পর বাদীসহ ভিকটিমের পরিবারের লোকজন  স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে বগুড়া জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টে্রট শিবগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

উপরে