প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯ ২২:১৫

নিজেদের প্রকৃত বিরোধী দল বলে দাবি করলেন বিএনপির হারুন

অনলাইন ডেস্ক
নিজেদের প্রকৃত বিরোধী দল বলে দাবি করলেন বিএনপির হারুন
সাংসদ হারুনুর রশীদ

একাদশ জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রকৃত বিরোধী দল বলে দাবি করেছেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হইচই করে এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদে চারটি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ২৬টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের জোট-মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা)। অন্যদিকে একটি নারী আসনসহ বিএনপির দখলে আছে ৬টি আসন। আর বিএনপি-জোটের শরিক গণফোরামের আছেন দুজন সাংসদ।

দশম সংসদেও বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল জাপা। একই সঙ্গে তারা সরকারেও ছিল। তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার দলটি সরকারে নেই। বিএনপির নেতারা জাপাকে গৃহপালিত বিরোধী দল বলে অভিহিত করে আসছে।

সোমবার ছাঁটাই প্রস্তাবের একপর্যায়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর অর রশীদ বলেন, ‘আমরাই প্রকৃত বিরোধী দল। কারণ গা বাঁচিয়ে আমরা কথা বলি না।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যেভাবেই বিরোধী দল সাজান না কেন, মহাজোটের অংশীদারদের দিয়েও সাজান না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। আমরাই প্রকৃত বিরোধী দল।’

এ সময় জাতীয় পার্টির সদস্যরা হইচই করে তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় হারুন মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ করে কিছু একটা বলতে গেলে বক্তব্যের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় মাইক বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় হারুন বলেন, সারা দেশে বিএনপি দলীয় নেতা–কর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। তাঁরা গায়েবি মামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন গায়েবি মামলা বলে কিছু নেই। বন্দুকযুদ্ধের নামে বিনা বিচারে হত্যা চলছে। আলোচিত খুনের ঘটনার কোনো কূলকিনারা হচ্ছে না।

জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জঙ্গি ও মাদক দমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনেকটা সফল হয়েছেন। কিন্তু নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন—এসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা বেশি। তিনি ক্রসফায়ার দেওয়ার দাবি করছেন না, তবে জঙ্গি ও মাদক বিরোধী অভিযানের মতো না হলে হত্যা-ধর্ষণ বন্ধ হবে না। জঙ্গিবাদ ও মাদক যেভাবে দমন করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে। 
এসবের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, গায়েবি মামলা বলতে কিছু নেই। প্রত্যেকটি ঘটনার সুনির্দিষ্ট বাদী রয়েছেন, সাক্ষীও আছেন। ঘটনা ঘটেছে বলে মামলা হয়েছে। আর পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ধর্ষণ হয় না। দেখতে হবে অভিযুক্তরা আইনের আওতায় আসছে কি না। সব কটি ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

উপরে