প্রকাশিত : ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০২:০৪

অসময়ের বৃষ্টিতে নন্দীগ্রামে শীতের আগাম শাকসবজি ক্ষতির মুখে

উপজেলা সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম, বগুড়াঃ
অসময়ের বৃষ্টিতে নন্দীগ্রামে শীতের আগাম শাকসবজি ক্ষতির মুখে

অসময়ের বৃষ্টিতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের আগাম শাকসবজি চাষিরা ক্ষতির মুখে পরেছে।  বেশ কিছু দিন ধরে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে এ উপজেলা জুড়ে। এতে জমিতে পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের কষ্টের শাকসবজি। খেতে পানি জমায় শাকসবজির গোড়ায় পচন রোগ দেখা দিয়েছে। জানা যায়, এ উপজেলায় কম—বেশি প্রতিটি গ্রামের কৃষক শাকসবজির চাষ করলেও সবচেয়ে বেশি শাকসবজির চাষবাদ করেন হাটকড়ি, ত্রিমোহানী, ধুন্দার, কাথম, বাদলাশন ও বিজরুল এলাকার কৃষকেরা। এই কৃষকেরা আগাম শাকসবজি হিসেবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শিম, টমেটো, লাউ, বেগুন, বরবটি ও কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষবাদ করেন।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪৭ হেক্টর জমিতে। এবার বেশ কিছু জমিতে খরপি—২ মৌসুমে শীতের আগাম শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। বাদলাশন গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা কয়েক ভাই মিলে ৬ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ, ৬ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করেছি। টানা বৃষ্টির কারণে সব খেতেই কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। গাছে ছত্রাকের আক্রমণসহ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই।কৃষক জুয়েল রানা বলেন, শাকসবজি খেতের মাঝে মাঝে কিছু চারা পচে নষ্ট হচ্ছে। প্রতিরোধক হিসেবে কীটনাশক স্প্রে করেও ভালো ফলাফল পাচ্ছিনা। কীটনাশক স্প্রে করলেও বৃষ্টির পানিতে তা ধুয়ে যাচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি বৃষ্টি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমি থেকে পানি বেড় করে দেওয়ার জন্য। আর চারাগাছে ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।

 

উপরে